ওয়ার্ডপ্রেস কি, কেন এত জনপ্রিয়? ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন
আজকের ডিজিটাল যুগে প্রায় ৪৩% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি – এই পরিসংখ্যানটি শুনে অবাক লাগছে তো? হ্যাঁ, এটাই বাস্তবতা! আপনি যে মুহূর্তে এই লেখাটি পড়ছেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই বিশ্বের কোথাও না কোথাও একটি নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) জিনিসটা আসলে কী? কেন এত মানুষ এটা ব্যবহার করে? আর আপনার জন্যই বা কেন এটা শেখা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে?
বিশ্বাস করুন, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার পর আপনিও হয়তো ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে উৎসাহী হয়ে উঠবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন, ওয়ার্ডপ্রেস কী, কেন এটা শেখা জরুরি, এবং কিভাবে আপনি নিজেই একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট বানাতে পারেন, একদম শুরু থেকে।
আর তাহলে কোথায় থেকে শিখলে সঠিক গাইডলাইন পাবেন, তাও জানাতে চলেছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক!
ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) কি? ওয়ার্ডপ্রেস কেন জনপ্রিয়?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি ওপেন সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)। মানে, এটা এমন একটা সফটওয়্যার যার মাধ্যমে আপনি কোনো কোডিং না জেনেও খুব সহজে একটা ওয়েবসাইট তৈরি এবং ম্যানেজ করতে পারবেন।
২০০৩ সালে WordPress চালু হয়েছিল মূলত ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে এটি দিয়ে সব ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, যেমনঃ ল্যান্ডিং পেইজ, ই-কমার্স সাইট, পোর্টফোলিও, নিউজ পোর্টাল, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটও।
এখন প্রশ্ন হলো, এত এত প্ল্যাটফর্ম থাকতে ওয়ার্ডপ্রেস এত জনপ্রিয় কেন? এর কারণ অনেকগুলো, তবে প্রধান কিছু কারণ হলো:
- ব্যবহার করা সহজঃ নতুনদের জন্য এটা খুবই ইউজার-ফ্রেন্ডলি। ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপের মতো সহজ কিছু অপশন থাকার কারণে ওয়েবসাইট বানানোটা এখানে জটিল কিছু না।
- ফ্লেক্সিবিলিটিঃ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনি যেমন সাধারণ ব্লগ বানাতে পারবেন, তেমনি বানাতে পারবেন জটিল ই-কমার্স সাইট কিংবা কর্পোরেট ওয়েবসাইটও।
- বিশাল কমিউনিটিঃ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের একটা বিশাল কমিউনিটি আছে যারা প্রতিনিয়ত এটার বিভিন্ন থিম, টুলস, প্লাগিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং যেকোনো সমস্যায় হেল্প করার জন্য এগিয়ে আসে। বাংলাদেশেও বেশ কয়েকটি বড় ও জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস এর।
- অসংখ্য থিম ও প্লাগিনঃ আপনার ওয়েবসাইটকে সুন্দর ও এফিশিয়েন্ট করার জন্য হাজার হাজার ফ্রি এবং পেইড থিম ও প্লাগিন রয়েছে।
ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, ধরুন আপনি একটা নতুন বাড়ি বানাতে চান। ওয়ার্ডপ্রেস হলো সেই ভিত্তিটা যা আপনাকে ইট, সিমেন্ট, বালি জোগাড় করার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। এর ওপর আপনি আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইন করতে পারবেন।
কেন আপনার ওয়ার্ডপ্রেস শিখা উচিৎ?
বর্তমান সময়ে ওয়ার্ডপ্রেস শেখাটা আপনার জন্য অনেকগুলো দরজা খুলে দিতে পারে। সেটা হোক আপনার নিজের বর্তমান বিজনেসের জন্য অথবা নতুন ক্যারিয়ারের জন্য। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণঃ
১. নিজের বিজনেসের জন্য
আজকের যুগে একটি বিজনেসের জন্য অনলাইন উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। আপনার যদি নিজস্ব ব্যবসা থাকে, তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে নিজেই আপনার বিজনেসের ওয়েবসাইট তৈরি, প্রোডাক্ট লিস্টিং, ব্লগ পোস্ট, কাস্টমার রিভিউ ইত্যাদি সহজেই ম্যানেজ এবং পরিচালনা করতে পারবেন।
মনে করুন, আপনার একটি রেস্টুরেন্ট আছে। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনি সহজেই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে আপনার মেনু, যোগাযোগের তথ্য, অনলাইন অর্ডার সিস্টেম সব কিছু রাখতে পারবেন। এতে করে আপনার মার্কেটিং কস্ট কমবে এবং অন্য একজন স্টাফের উপরে নির্ভরতা দূর হবে।
২. ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে আয় করার জন্য
ওয়ার্ডপ্রেসের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ জানেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার জন্য অসংখ্য কাজের সুযোগ রয়েছে। ওয়েবসাইট তৈরি, থিম কাস্টমাইজেশন, প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট, এই ধরনের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে আপনি ঘন্টাপ্রতি ১৫-৫০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এমনকি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররাও মাসে ৫০,০০০ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
৩. ব্লগিং করে আয়
যদি লেখালেখির প্রতি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস আপনার জন্য একটা দারুণ প্ল্যাটফর্ম। খুব সহজেই আপনি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার চিন্তাগুলো বিশ্বের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
একটা সময় পর আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হলে সেখান থেকে Google AdSense, Affiliate Marketing, Sponsored Post এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
৪. ফিক্সড/অফিস জব
বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই, ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আপনি একটি ভালো বেতনের চাকরিও পেতে পারেন। আমাদের DUSRA Soft-এও কয়েকজন এক্সপার্ট ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার কাজ করছে।
৫. ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরি (Ecommerce site using WordPress)
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার কথা ভাবছেন? ওয়ার্ডপ্রেসের WooCommerce প্লাগিনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই একটি পূর্ণাঙ্গ ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। যেখানে আপনি আপনার প্রোডাক্ট অ্যাড করতে পারবেন, পেমেন্ট এবং শিপিং অপশন সেট করতে পারবেন এবং আপনার অনলাইন স্টোর ম্যানেজ করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কি কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়?
আপনি হয়তো ভাবছেন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কী কী ওয়েবসাইট বানানো যায়? ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনি প্রায় সব ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। যেমনঃ
- বিজনেস ওয়েবসাইট
- ইকমার্স সাইট
- ব্লগ বা নিউজ পোর্টাল
- পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট
- স্কুল/কলেজের ওয়েবসাইট
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সাইট
- এনজিও এর জন্য ওয়েবসাইট
আসলে, আপনার যেমন প্রয়োজন, ওয়ার্ডপ্রেসের থিম এবং প্লাগিন ব্যবহার করে তেমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। আপনি এখন আমাদের যে ওয়েবসাইটে এই লেখাটি পড়ছেন সেটিও কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেই বানানো হয়েছে!
ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধা
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলোঃ
- ফ্রি ও পেইড দুইভাবেই ব্যবহার করা যায়।
- ব্যবহার করা খুব সহজ।
- কোডিং না জানলেও ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।
- SEO-ফ্রেন্ডলি (Search Engine Optimization)।
- মোবাইল রেসপনসিভ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
- ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি সিস্টেম বেশ ভালো।
- নিয়মিত আপডেট পাওয়া যায়।
- বিশাল সংখ্যক থিম ও প্লাগিন রয়েছে।
ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধা
কিছু সুবিধা থাকার পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু অসুবিধাও আছেঃ
- অনেক প্লাগিন ব্যবহার করলে সাইটের স্পিড কমে যেতে পারে।
- কাস্টমাইজেশনের জন্য কিছু ক্ষেত্রে কোডিং জানার প্রয়োজন হতে পারে।
- ওয়েবসাইটের সিকিউরিটির জন্য নিয়মিত আপডেট করতে হয়।
তবে, সঠিক জ্ঞান এবং কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই অসুবিধাগুলো সহজেই এড়ানো যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগিন কী?
ওয়ার্ডপ্রেসের প্রাণ বলা চলে এর থিম এবং প্লাগিনগুলোকে। এগুলো আপনার ওয়েবসাইটকে নতুন রূপ দেয় এবং বিভিন্ন ফাংশনালিটি অ্যাড করে।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম
থিম হলো আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং লেআউট। একটা থিম আপনার ওয়েবসাইটকে দেখতে কেমন হবে, ফন্ট কেমন হবে, মেনু কোথায় থাকবে, এই সবকিছু নির্ধারণ করে। হাজার হাজার ফ্রি এবং পেইড থিম রয়েছে, যেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পছন্দমতো ডিজাইন বেছে নিতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন
Plugin হলো ছোট ছোট সফটওয়্যার যা আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন নতুন ফিচার অ্যাড করবে। যেমনঃ আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে কন্টাক্ট ফর্ম যুক্ত করতে চান, তাহলে একটা কন্টাক্ট ফর্ম প্লাগিন ব্যবহার করতে পারেন। এসইও অপটিমাইজেশনের জন্য, স্পিড বাড়ানোর জন্য, সিকিউরিটি স্ট্রং করার জন্য এরকম বিভিন্ন কাজের জন্য আলাদা আলাদা প্লাগিন পাওয়া যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কোথা থেকে শিখবেন?
এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, “আচ্ছা, ওয়ার্ডপ্রেস তো অনেক কাজের জিনিস মনে হচ্ছে, কিন্তু এটা শিখবো কোথা থেকে?”
আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আছে আমাদের কাছেই! DUSRA Soft দীর্ঘদিন ধরে ওয়েব এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি আইটি ট্রেনিং সার্ভিস প্রদান করে আসছে। আমরা দিচ্ছি একটি প্রফেশনাল WordPress Web Design and Development Course, যা আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেসের খুঁটিনাটি সবকিছু শেখাবে।
আমাদের কোর্সের বিশেষত্ব হলোঃ
- অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ইন্সট্রাক্টর দ্বারা ট্রেইনিং।
- ব্যবহারিক এবং হাতে-কলমে শেখানোর পদ্ধতি।
- আধুনিক কারিকুলাম যা ইন্ডাস্ট্রির চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
- কোর্স শেষে প্রজেক্ট করার সুযোগ, যা আপনার পোর্টফোলিওকে সমৃদ্ধ করবে।
আপনি যদি সত্যিই ওয়ার্ডপ্রেস শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান অথবা নিজের ব্যবসার জন্য একটি শক্তিশালী অনলাইন উপস্থিতি তৈরি করতে চান, তাহলে আমাদের এই কোর্সটি আপনার জন্য একটি দারুণ সুযোগ হতে পারে।
আর দেরি না করে, আজই আমাদের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট কোর্সে এনরোল করুন এবং আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিন! বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে?
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগবে তা নির্ভর করে আপনার শেখার গতি, কতটা মনযোগী এবং আপনি কতটা সময় দিতে পারছেন তার উপর। তবে সাধারণভাবে, ওয়ার্ডপ্রেসের বেসিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
আর যদি আপনি ডেভেলপমেন্টের দিকে যেতে চান, তাহলে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। আমাদের DUSRA Soft এর কোর্সগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে আপনি অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় সবকিছু শিখতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে কেমন ক্যারিয়ার গড়া যায়?
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। যেমনঃ
- ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার
- ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনার
- ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপার
- ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপার
- ওয়ার্ডপ্রেস কন্টেন্ট ম্যানেজার
- ফ্রিল্যান্স ওয়ার্ডপ্রেস স্পেশালিস্ট
বর্তমানে এই ক্ষেত্রগুলোতে কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং এই স্কিলগুলো আপনাকে ভালো আয় করতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপারের আয় কেমন?
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের আয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং আপনি কোথায় কাজ করছেন তার উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে, একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের আয় বেশ ভালো। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার মাসে ৫০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা আয় করতে পারেন।
শেষ কথা
তাহলে দেখলেন তো, ওয়ার্ডপ্রেস কতটা শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম? ওয়েবসাইট তৈরি করা এখন আর কঠিন কিছু নয়, ওয়ার্ডপ্রেসের হাত ধরে এটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আরো সহজ হয়েছে এআই এর উত্থানে। আপনি যদি নিজের একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান, অনলাইনে কিছু বিক্রি করতে চান, অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জগতে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস হতে পারে আপনার প্রথম এবং সেরা স্টেপ।
পরামর্শ থাকবে, ওয়ার্ডপ্রেস শেখার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক AI Tools ব্যবহার করে ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে কীভাবে আরো এফিশিয়েন্ট ও দ্রুত করা যায় সেটাও জানবেন।
আশা করি এই ব্লগটি আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে। যদি আপনার আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ, আপনার ওয়েব ডেভেলপমেন্টের যাত্রা শুরু করার জন্য DUSRA Soft সবসময় আপনার পাশে আছে!