ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের পরিপূর্ণ গাইডলাইন

What is Freelancing Complete guide to freelancing career

বর্তমানে, বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণদের মাঝে, সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশাগুলোর একটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এর বহুবিধ সুবিধা ও অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের সুযোগ থাকার কারণে এটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।

আজকের ব্লগে ফ্রিল্যান্সিং কি এবং Freelancing ক্যারিয়ারের সম্পূর্ণ গাইডলাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

Freelanching এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- মুক্তপেশা। ব্যাপক অর্থে ফ্রিল্যান্সিং বলতে বুঝায়- ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোনো কাজ সম্পাদন করা এবং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা।

এটিকে অনেকটা ব্যবসায় ও চাকরির মিশ্রণ বলতে পারেন। ব্যবসায়ে নিজের ইচ্ছেমতো যেকোনো বৈধ পণ্য বা সেবা বিক্রি করা যায়, একাধিক ক্রেতা বা গ্রাহক থাকে।

আবার চাকরিতে একজন বস থাকে, নির্দিষ্ট টাস্ক সম্পন্ন করতে হয়। তবে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় একাধিক গ্রাহক (Client) থাকে, যাদেরকে অফিসের বসের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এটাও সঠিক যে, এই পেশায় চাকরি ও ব্যবসায়ের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা আছে।

অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায় এমন কাজে (যেমন: Web Development, Graphics Design, Programming, Video Editing ইত্যাদি) দক্ষতা অর্জন করে Fiverr, Upwork, Freelancer এর মতো গ্রোবাল মার্কেটপ্লেসে গ্রাহকদের সেবা দিতে পারেন। মূলত ছোট ছোট টাস্ক (কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিনের) সম্পন্ন করার অর্ডার পাওয়া যায়।

ফ্রিল্যান্সিং এর ইতিহাস

আজকের যে ফ্রিল্যান্সিং পেশা তার শুরুটা খুব আগে নয়। নব্বইয়ের দশকে ইন্টারনেট অনেক বেশি সহজলভ্য হয়ে উঠলে অনেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে শুরু করে। পরবর্তীতে একবিংশ শতাব্দীর একদম শুরুতে ব্যাপকভাবে ফ্রিল্যান্সিং পেশা জনপ্রিয়ত পায়।

তবে এর ধারণা বহু আগের। জানা যায়, আঠারো শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রথম বারের মতো Freelancing শব্দটা ব্যবহৃত হয়। তখন একদল সৈনিক বিভিন্ন দেশ, রাজ্যের হয়ে যুদ্ধ করতো, যারাই তাদেরকে অর্থ দিতো তাদের হয়ে যুদ্ধ করতো। যাদেরকে ভাড়াটে সৈনিক বলা যেতে পারে। এধরনের সৈনিকদের তখনকার সময়ে ফ্রিল্যান্সার বলা হতো।

আর বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সার বলতে বুঝায়- যারা ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের হয়ে অস্থায়ী কাজ করে।

২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্যমতে, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়ের পরিমাণ ছিল ৪.৯২ বিলিয়ন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, এই আকার ২০৩০ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াবে ১৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি! আর বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম।

বাংলাদেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখের অধিক সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারের বিশাল অংশ দখল করে রেখেছে এই পেশাজীবীরা।

বহু বেকার ও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে। এছাড়া অনেকে এর মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয়, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে ফুল-টাইম চাকরির সুযোগ পেয়েছে স্ট্রং একাডেমিক রেজাল্ট না থাকা সত্বেও।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ

ফ্রিল্যান্সিং কাজের মূল উপকরণ হচ্ছে কম্পিউটার। বলা হয়ে থাকে, কম্পিউটার দিয়ে কী কী কাজ করা সম্ভব তা কেবল মানুষের বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সীমাবদ্ধ। কম্পিউটারের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরনে পরিবর্তন আসছে এবং এর পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শুরুর দিকে ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। বর্তমানে এদের জনপ্রিয়তা থাকলেও এর সাথে যুক্ত হয়েছে আরো অনেক ধরণের কাজ।

নিচে কয়েকটি জপ্রিয় ও চাহিদাপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ উল্লেখ করা হলো-

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা অনেকেই জানতে চান। পরবর্তী কোনো একটি ব্লগে এসব কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ও তুলনামূলক আলোচনা করার চেষ্ট করবো।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাসমূহ

Freelancing এর নানাবিধ সুবিধা একে এত বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। প্রচলিত চাকরি বা ব্যবসায়ের তুলনায় ফ্রিল্যান্সিং এ যেসব সুবিধা পাওয়া যায় তার কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • ফ্লেক্সিবিলিটিঃ ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের সুবিধাজনক যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারে। এছাড়াও তারা নিজের কাজের সময় নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারে। অর্থাৎ চাকরির মতো ৯টা-৫টা একই অফিসে কাজ করতে হয় না।
  • কাজ-জীবনের ভারসাম্যঃ এই পেশাজীবীদের নিজেদের সুবিধাজনক মতো কাজের চাপ নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। চাকরি-ব্যবসায়ের মতো অতিরিক্ত কাজের চাপ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। কাজের বাইরে বাকি সময়টা নিজের ও পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সাথে উপভোগ করা যায়।
  • আয় নিয়ন্ত্রণঃ যেহেতু একজন ফ্রিল্যান্সার একধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে থাকে, সেহেতু তার আয়ের উৎসকে বহুমুখী করতে পারে। এতে একজন ক্লায়েন্টের কাজ হারালে বাকিদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। আবার ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের কাজের পারিশ্রমিক নিজেরা নির্ধারণ করতে পারে।
  • নেটওয়ার্কিং সুবিধাঃ একজন ফ্রিল্যান্সার একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারে। এর ফলে সে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের সাথে সুসম্পর্ক তৈরির সুযোগ পায়। পরবর্তীতে কোনো প্রয়োজনে তাদের থেকে সহযোগিতা পেতে পারে।
  • কাজের স্বাধীনতাঃ একজন ফ্রিল্যান্সার কোন প্রজেক্টে কাজ করবে, কার সাথে কাজ করবে, কার সাথে কাজ করবে না এই ধরণের সিদ্ধান্ত সে এককভাবে নিতে পারে। এক্ষেত্রে কাজের ব্যাপক স্বাধীনতা ভোগ করা যায়।

এর বাইরেও আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। তবে এর কিছু অসুবিধাও আছে। যেমনঃ প্রতারক ক্লায়েন্ট, অবসর পরবর্তী আয় না থাকা, অমস্ত কাজ নিজে করা, কম্পিউটার সহ অন্যান্য প্রযুক্তি নিজে ক্রয় করা, অধিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে চ্যালেঞ্জ

যখন একজন শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং শেখে তখন সে মূলত দুইটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সবচেয়ে বেশি হয়। একটি হচ্ছে পর্যাপ্ত ধৈর্য না থাকা, অন্যটি হচ্ছে ব্যর্থ হবার সম্ভাবনা। বর্তমানে যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং পেশা অনেক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সেহেতু এখানে সফল হওয়াটাও অনেকটা চ্যালেঞ্জিং।

তবে কেউ যদি সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করে এবং একাগ্রতার সাথে কাজ করে যেতে পারে তাহলে সে সফল হবে। কারণ, সৃষ্টিকর্ত কখনো বৈধ চেষ্টাকে বিফলে যেতে দেন না।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

আপনি যদি এই ব্লগটি পড়ে থাকেন তাহলে আমি ধারণা করছি আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে নতুন এবং এখানে ক্যারিয়ার গড়তে ভীষণ আগ্রহী। নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার প্রক্রিয়াটা কেমন হবে এই অংশে তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করার চেষ্টা থাকবে।

আমরা কয়েকটি ধাপে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ক্যারিয়ার গড়তে পারি। সেগুলো হলো-

  1. নিজের আগ্রহ খুঁজে বের করা
  2. দক্ষতা অর্জন করা
  3. একটি পোর্টফোলিও তৈরি করা
  4. ফ্রিল্যান্স অপশনগুলো খোঁজা
  5. কাজের মূল্য নির্ধারণ করা

১. নিজের আগ্রহ খুঁজে বের করা

ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তা হলো- আপনি আসলে কোন বিষয়ে আগ্রহী, কোন বিষয়ে আপনার জানা-শোনা বেশি। এক্ষেত্রে আপনি উপরে ফ্রিল্যান্সিং কাজসমূহের তালিকাতা দেখতে পারেন। এছাড়াও ইন্টারনেটে সার্চ দিলে আরো অসংখ্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

আপনি কোন সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চান তা প্রথম ধাপেই নির্ধারণ করে ফেলুন। প্রয়োজনে খাতা-কলম নিয়ে বসুন এবং আগ্রহের বিষয়গুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে লিস্ট করুন। এরপরে সেগুলোর চাহিদা ও প্রতিযোগিতা কেমন তা জানুন। এক্ষেত্রে জনপ্রিয় Freelance Marketplace গুলোতে সার্চ দিতে পারেন।

২. দক্ষতা অর্জন করা

আগ্রহের বিষয় খুঁজে পেলে পরবর্তী কাজ হবে সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা ও পারদর্শী হয়ে ওঠা। এজন্য ইউটিউব ভিডিও, ব্লগ ও প্রফেশনাল ট্রেইনিং সেন্টারের সহযোগিতা নিতে পারেন।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে Dusrasoft Ltd. আমাদের রয়েছে প্রতিটি কোর্সের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ ইন্সট্রাক্টর। এছাড়া শুরু থেকে কাজ পাওয়া পর্যন্ত কীভাবে আগাবেন সে বিষয়েও গাইড করা হয়। কোর্স শেষেও শিক্ষার্থীদের প্রিমিয়াম সাপোর্ট দিয়ে থাকি। আমাদের কোর্সসমূহ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

৩. একটি পোর্টফোলিও তৈরি করা

ফ্রিল্যান্সিং শেখার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরি করার চেষ্টা করুন। আর সেগুলো নিজের ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট কিংবা প্রাসঙ্গিক ফোরামগুলোতে পোস্ট করুন। এভাবে নিজের একটা স্ট্রং পোর্টফোলিও বানান, যার মাধ্যমে ক্লায়েক্টদের আকৃষ্ট করা যায়।

৪. ফ্রিল্যান্স অপশনগুলো খোঁজা

কোনো স্কিল শিখে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক অপশন রয়েছে। সেগুলোকে চিহ্নিত করুন। যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, লিংকডইন, ফেসবুক, ফোরাম ওয়েবসাইট, কমিউনিটি ওয়েবসাইট, পরিচিতজনদের মাধ্যমে কাজের সন্ধান করতে পারেন।

আপনার অর্জিত দক্ষতা কী কী কাজে লাগে সেগুলো জানুন। এসব কাজের সাথে যারা বা যেসকল প্রতিষ্ঠান জড়িত তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন। এভাবে ধীরে ধীরে নিজের পোর্টফোলিও তৈরির পাশাপাশি কাজের অপশনগুলো খুঁজে বের করুন।

৫. কাজের মূল্য নির্ধারণ করুন

ফ্রিল্যান্সিং করার অন্যতম বড় সুবিধা হচ্ছে, এখানে নিজের কাজের মূল্য বা পারিশ্রমিক নিজেই নির্ধারণ করা যায়। কাজের মূল্য ঠিক করতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন- শুরুতেই অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দাবি করবেন না, ফ্রিতে কারো বাণিজ্যিক কাজ করে দেবেন না, নিজেকে অনেক বেশি সহজলভ্য করবেন না।

অন্যদের সাথে প্রাসঙ্গিকতা রেখে এবং নিজের কাজের কোয়ালিটির দিকে খেয়াল রেখে কাজের মূল্য নির্ধারণ করা উচিত।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন

এতক্ষনে জেনেছেন ফ্রিল্যান্সিং কি এবং এটি কীভাবে রপ্ত করবেন সে বিষয়ে। এবার আসুন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গঠনে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের কিছু মতামত শেয়ার করি। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরির এই গাইডলাইন বা টিপগুলো আপনার কাজে লাগবে।

একটি সফল ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করতে আপনাকে কতগুলো বিষয় অবশ্যই জানতে হবে। যেমন-

  • সেলফ মার্কেটিং
  • নেটওয়ার্কিং
  • টাইম ম্যানেজমেন্ট
  • মানি ম্যানেজমেন্ট
  • টেকনিক্যাল স্কিল

সেলফ মার্কেটিং

এটাকে অনেকে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংও বলে থাকেন। Self Marketing বলতে নিজেকে অন্যদের কাছে ইতিবাচকভাবে পরিচিত করানো, গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো এবং এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রি করা। এটা শুধু ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নয়, যেকোনো শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য একটা দরকারী দক্ষতা।

এর মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্টের সাথে অধিক যৌক্তিক উপায়ে নিজেকে ও নিজের সার্ভিসকে তুলে ধরতে পারবেন। অন্যদের তুলনায় আপনাকে ক্লায়েন্ট অধিক বিশ্বাস করবে। সেলফ মার্কেটিং বা পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর কতগুলো উপায় আছে। যেমন- সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, পোর্টফোলিও, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, কোলাবরেশন ইত্যাদি।

নেটওয়ার্কিং

ক্যারিয়ার গ্রোথের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের সাথে নেটওয়ার্কিং। আপনার নেটওয়ার্কিং স্কিল যত স্ট্রং হবে আপনি অন্যদের চেয়ে তত বেশি মানুষের সাথে পরিচিত থাকবেন। তবে নেটওয়ার্কিং এর জন্য প্রয়োজন কমিউনিকেশন স্কিল।

সোশ্যাল কমিউনিকেশন আর প্রফেশনাল কমিউনিকেশন দুটো ভিন্ন জিনিস। প্রফেশনাল কমিউনিকেশন শেখার জন্য অনেক উপায় আছে। যেমন- ইউটিউব ভিডিও, প্রিমিয়াম কোর্স, ব্লগ ইত্যাদি। সফল ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার গড়তে নেটওয়ার্কিং দক্ষতা অপরিহার্য।

টাইম ম্যানেজমেন্ট

সময়জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি আর সময়জ্ঞানহীন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত জীবনে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেহেতু একজন ফ্রিল্যান্সার একই সময়ে একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে তাই তাকে অধিক সময়জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে। সেই সাথে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়েও জ্ঞান থাকা লাগবে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে তা আপনার ক্যারিয়ারে এত বাজে প্রভাব ফেলবে যে আপনি সেটা পুষিয়ে নিতে রীতিমতো হিমশিম খাবেন। সেজন্য টাইম ম্যানেজমেন্টের বিষয়ে গুরুত্ব দিন।

মানি ম্যানেজমেন্ট

অর্থ উপার্জন করা যতটা কঠিন তার চেয়েও বেশি কঠিন সঠিকভাবে অর্থ ব্যবস্থাপনা করা। অনেকে প্রতি মাসে অনেক আয় করেন কিন্তু Money Management জ্ঞানের অভাবে মাস শেষে হাতে পর্যাপ্ত অর্থ থাকে না।

মানি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকলে অর্থ উপার্জন সম্পূর্ণটাই বিফলে যাবে, সেজন্য Money Managment বিষয়ে ভিডিও, কোর্স, ব্লগ ইত্যাদি পড়তে পারেন।

টেকনিক্যাল স্কিল

আপনি যে সেক্টরে কাজ করতে চান সে সেক্টরের সাথে প্রাসঙ্গিক Technical Skills শিখুন। যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে এর সাথে প্রাসঙ্গিক UI Design, SEO, Content Writing ইত্যাদি বিষয়ক জ্ঞান রাখুন।

আবার ভিডিও এডিটিং শিখলে তার সাথে Thumbnail Design, Motion Graphics, Video Shooting ইত্যাদি শিখুন। এর পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড বিভিন্ন টেকনলোজি ব্যবহার করা সম্পর্কেও জানুন।

সমাপ্তি

আপনি কি জানেন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সবচেয়ে উত্তম সময় কখন? উত্তর হচ্ছে এখনই। যেকোনো কাজের আইডিয়ার চেয়ে সেটা বাস্তবায়ন করে ফেলা অধিক লাভজনক। আপনার যদি পরিকল্পনা থাকে যে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়বেন তাহলে সময় ক্ষেপণ না করে এখনই শুরু করে দিন।

প্রতিনিয়ত দক্ষ Freelancer এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। ভবিষ্যৎ বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর এবং সেই বিশ্বকে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরা নিয়ন্ত্রণ করবে, সে বিষয়ে কারো দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই। বেকারত্ব দূর করতে কিংবা পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করতে ফ্রিল্যান্সিং এর চেয়ে উত্তম উপায় কোনটি?

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জার্নিতে Dusrasoft এর সঙ্গী হতে পারেন। আমাদের প্রিমিয়াম কোর্স ম্যাটেরিয়ালস ও দেশসেরা ইন্সট্রাক্টরদের সহযোগিতা আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরির অন্যতম সুযোগ হবে বলে মনে করি। বিস্তারিত জানতে ও ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন পেতে আমাদেরকে কল করতে পারেন 01714-691963 নম্বরে। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার দিনটি শুভ হোক!


Follow us

× How can I help you?