সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কি, কেন, কিভাবে? DUSRA Soft
আজকের ডিজিটাল যুগে প্রতিটি ব্যবসার জন্য অনলাইন প্রেজেন্স শুধুমাত্র একটি অপশন না, বরং একটি অপরিহার্য প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ এখন যেকোনো পণ্য বা সেবা কেনার আগে অনলাইনে সার্চ করে সেই পণ্যের দাম, মান ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা জেনে নেয়।
ইন্টারনেটে আপনার ব্র্যান্ডের সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যাসেট হলো ওয়েবসাইট। কিন্তু ওয়েবসাইট আছে মানেকাস্টমার আসবে, এই সমীকরণ এখন বাস্তবে কাজ করে না। ইন্টারনেটে একই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। ব্যবহারকারী আপনার নাম জানে না, সে শুধু সমস্যা জানে আর সেই সমস্যার কী-ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে।
ঠিক সেখানেই খেলা শুরু সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)। এটি এমন এক সেট-অফ স্ট্র্যাটেজি ও টেকনিক, যা আপনার সাইটকে সার্চ রেজাল্টে ভিজিবল, ক্রেডিবল এবং ক্লিকেবল করে তোলে।
এই আর্টিকেলে আমরা প্র্যাক্টিক্যাল, ডাটা-ড্রিভেন দৃষ্টিভঙ্গিতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই বিশেষ শাখা SEO এর বেসিক থেকে অ্যাডভান্স পর্যন্ত হাঁটবো, যেন একজন বিগিনারও নিজের প্রজেক্টে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি এসইও শেখার সলিড রোডম্যাপ চান, DUSRA Soft-এর প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং কেমন হতে পারে, সেটাও এখানে ব্লুপ্রিন্ট করে দিচ্ছি। Let’s ship value, not just theory!
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কি?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো একটি কৌশল, যা ওয়েবসাইটের visibility বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, যাতে এটি Google, Bing, Yahoo-এর মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোর SERP-এ (Search Engine Result Page) আরও সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।
যখন কেউ একজন একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড বা বাক্য (query) লিখে গুগলে সার্চ করে, তখন গুগল তার জটিল অ্যালগরিদম ব্যবহার করে কোটি কোটি ওয়েবসাইট থেকে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং নির্ভরযোগ্য ফলাফলগুলো বাছাই করে থাকে। SEO-এর মূল লক্ষ্য হলো এই অ্যালগরিদমকে বোঝা এবং আপনার ওয়েবসাইটকে সেই অ্যালগরিদমের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী অপটিমাইজ করা।
তবে SEO শুধুমাত্র রোবট বা অ্যালগরিদমকে খুশি করার জন্য না। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা (User Experience – UX) ইমপ্রুভ করা। একটি ভালো SEO ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়, সহজে নেভিগেট করা যায়, এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় তথ্য সহজে সরবরাহ করে। সার্চ ইঞ্জিনগুলো সবসময় এমন ওয়েবসাইটকে প্রাধান্য দেয়, যা ব্যবহারকারীকে বেস্ট এক্সপেরিয়েন্স দিতে পারে। তাই বলা যায়, SEO হলো প্রযুক্তি এবং ব্যবহারকারী উভয়ের চাহিদা পূরণের একটি কৌশল।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কীভাবে কাজ করে?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ভিতটা টেকনিক্যাল এবং বেশ জটিল। এর কাজ মূলত তিনটি প্রধান ধাপে সম্পন্ন হয়ঃ Crawling, Indexing, Ranking.
১. ক্রলিং (Crawling): সার্চ ইঞ্জিনগুলো তাদের স্পাইডার বা ক্রলার (bots) ব্যবহার করে ইন্টারনেটের নতুন এবং আপডেট করা ওয়েবসাইটগুলো খুঁজে বের করে। এই ক্রলারগুলো একটি ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে লিংক ফলো করে কন্টেন্ট খুঁজে বের করে।
২. ইনডেক্সিং (Indexing): ক্রলার যখন নতুন কোনো ওয়েবপেজ খুঁজে পায়, তখন এটি সেই পেজের বিষয়বস্তু, কীওয়ার্ড, ইমেজ, মেটা ডেসক্রিপশন এবং অন্যান্য তথ্যকে বিশ্লেষণ করে এবং সার্চ ইঞ্জিনের বিশাল ডাটাবেসে (index) সংরক্ষণ করে। এই ইনডেক্সিং প্রক্রিয়া যত নিখুঁত হবে, আপনার ওয়েবসাইটকে তত দ্রুত এবং সহজে সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাওয়া যাবে।
৩. র্যাংকিং (Ranking): যখন কেউ একজন একটি কীওয়ার্ড বা Search query লিখে সার্চ করে, তখন সার্চ ইঞ্জিন তার ইনডেক্স থেকে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং নির্ভরযোগ্য ফলাফলগুলো খুঁজে বের করে এবং একটি নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে সাজিয়ে দেখায়। এই সাজানোর প্রক্রিয়াকেই মূলত র্যাংকিং বলা হয়।
একজন এসইও এক্সপার্টের কাজ হলো এই পুরো প্রক্রিয়াটি সহজ করা। এর জন্য তিনি যে কাজগুলো করেন, সেগুলো হলোঃ
- কীওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research): এটি এসইও এর প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। একজন এসইও এক্সপার্ট প্রথমে খুঁজে বের করেন যে তার টার্গেট অডিয়েন্স কী কী শব্দ ব্যবহার করে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য খোঁজে। এটির জন্য বিভিন্ন টুলস রয়েছে, যেমন Google Keyword Planner, SEMRUSH, Ahrefs ইত্যাদি। সঠিক কীওয়ার্ড খুঁজে বের করার পর সেগুলোকে কন্টেন্টের মধ্যে ব্যবহার করা হয়।
- অন-পেজ অপটিমাইজেশন (On-Page Optimization): এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভেতরের অংশগুলোকে অপটিমাইজ করা হয়। যেমন: আকর্ষণীয় টাইটেল ট্যাগ ও মেটা ডেসক্রিপশন লেখা, কন্টেন্টে সঠিক কীওয়ার্ড ডেনসিটি বজায় রাখা, হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা, ইমেজ অপটিমাইজ করা, এবং ইন্টারনাল লিংকিং করা ইত্যাদি।
- অফ-পেজ অপটিমাইজেশন (Off-Page Optimization): এটি ওয়েবসাইটের বাইরে করা হয় এবং এর ফলে ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যাকলিংক তৈরি করা। যখন অন্য কোনো বিশ্বস্ত ও হাই-অথোরিটিযুক্ত ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে একটি লিংক আসে, তখন সার্চ ইঞ্জিন এটিকে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি একটি ভোট হিসেবে কনসিডার করে। সার্চ ইঞ্জিন মনে করে আপনার ওয়েবসাইটটা ক্রেডিবল।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কত প্রকার?
এসইওকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রতিটি প্রকারের নিজস্ব ও আলাদা কৌশল এবং লক্ষ্য রয়েছে। এখানে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
অন-পেজ এসইও (On-Page SEO)
এই পদ্ধতিটি একটি ওয়েবপেজের ইন্টার্নাল এলিমেন্টগুলোকে অপটিমাইজ করার সাথে জড়িত। অন-পেজ এসইও এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারী উভয়ের কাছেই ওয়েবসাইট এবং এর কন্টেন্টগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। On-Page SEO এর জন্য যেসব কৌশল ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলোঃ
- টাইটেল ট্যাগ এবং মেটা ডেসক্রিপশনঃ টাইটেল ট্যাগ হলো একটি ওয়েবপেজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সরাসরি সার্চ রেজাল্টে দেখা যায়। এতে অবশ্যই প্রাইমারি কিওয়ার্ড থাকা উচিত এবং এটি আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। মেটা ডেসক্রিপশন হলো টাইটেলের নিচের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, যা ব্যবহারকারীকে ক্লিক করতে উৎসাহিত করে। এখানে প্রাইমারি কিওয়ার্ড রাখা উচিত।
- হেডিং ট্যাগ (H1, H2, H3): এগুলো একটা কন্টেন্টকে আরো সুসংগঠিত করে এবং সার্চ ইঞ্জিনকে কন্টেন্টের স্ট্রাকচার বুঝতে সাহায্য করে। যথাযথভাবে হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীরা সহজেই কন্টেন্টের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারনা পায়।
- কন্টেন্ট অপটিমাইজেশনঃ কন্টেন্ট অবশ্যই উচ্চমানের, প্রাসঙ্গিক এবং ব্যবহারকারীর সমস্যার সমাধান করতে পারে এমন হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু অ্যাড করা যাবে না। আবার ব্যবহারকারী জানতে আগ্রহী এমন বিষয়বস্তু এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। একদম অপ্টিমাম হতে হবে।
- ইমেজ অপটিমাইজেশনঃ ছবির ফাইলের নাম, অল্টার ট্যাগ এবং সাইজ অপটিমাইজ করলে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ে। বিভিন্ন কম্প্রেসর টুল ব্যবহার করে ইমেজ সাইজ কমানো যায়, কিন্তু এতে কোয়ালিটি ড্রপ করে না। এছাড়া ইমেজগুলো অবশ্যই WEBP ফরম্যাটে দেওয়া উত্তম।
- ইন্টার্নাল লিংকিংঃ একই ওয়েবসাইটের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক পেজের মধ্যে লিংক তৈরি করলে ব্যবহারকারীকে ওয়েবসাইটে বেশি সময় রাখা যায়। এর ফলে অয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমে, যা এসইও এর জন্য একটা পজিটিভ ইন্ডিকেটর।
অফ-পেজ এসইও (Off-Page SEO)
এই পদ্ধতিটি ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে করা হয় এবং এর মূল উদ্দেশ্য হলো ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা বা Authority এবং জনপ্রিয়তা বাড়ানো। যে ওয়েবসাইটগুলোর অথোরিটি যত বেশি সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে তত ভালো পারফর্ম করে। অফ-পেজ এসইও এর জন্য কয়েকটি কৌশল রয়েছে, যেমনঃ
- ব্যাকলিংক তৈরি (Backlink Building): এটি অফ-পেজ এসইও-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। হাই-কোয়ালিটি ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পেলে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং বেড়ে যায়। তবে ব্যাকলিংকগুলো অবশ্যই প্রাসঙ্গিক এবং নির্ভরযোগ্য হতে হবে। যদি আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্টের বিষয়বস্তু হয় ফার্মিং এবং আপনি যদি ফার্মেসি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নেন, তাহলে এটা কাজে দেবে না।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করা সরাসরি র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব না ফেললেও, এটি আপনার কন্টেন্টের ভিজিবিলিটি বাড়াবে এবং আল্টিমেটলি ট্র্যাফিক ও ব্যাকলিংক পেতে সাহায্য করবে।
- গেস্ট পোস্টিংঃ অন্যান্য জনপ্রিয় ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আপনার কন্টেন্ট পাবলিশ করে সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করতে পারেন। অনেক ফোরাম সাইট থেকে ফ্রিতে এধরনের ব্যাকলিংক পাওয়া যায়।
টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)
টেকনিক্যাল এসইও মূলত ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত দিকগুলো অপটিমাইজ করার সাথে জড়িত। সঠিকভাবে টেকনিক্যাল এসইও ইমপ্লিমেন্ট করতে পারলে সার্চ ইঞ্জিনগুলো সহজে ওয়েবসাইটটি ক্রল এবং ইনডেক্স করতে পারে।
ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ানো, ওয়েবসাইটের ডিজাইন মোবাইল ফ্রেন্ডলি করা, সঠিকভাবে XML সাইটম্যাপ ও robot.tx ফাইল তৈরি করার মতো কিছু কৌশল ব্যবহার করে ওয়েবসাইটকে আরো এসইও-ফ্রেন্ডলি করা যায়।
লোকাল এসইও (Local SEO)
যারা কোনো নির্দিষ্টি এলাকার মধ্যে ব্যবসায় পরিচালনা করেন তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার ব্যবহারকারীদের কাছে আপনার ব্যবসাটিকে আরো ভিজিবল করতে পারবেন। Google My Business প্রোফাইল অপটিমাইজ করা, লোকাল ডিরেক্টরিতে তালিকাভুক্ত হওয়া সহ স্থানীয় রিভিউ পাওয়ার মাধ্যমে লোকাল এসইও করা হয়।
হোয়াইট হ্যাট vs. ব্ল্যাক হ্যাট vs. গ্রে হ্যাট এসইও
- হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO): এটি গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের ইন্সট্রাকশন অনুসরণ করে করা হয়। দীর্ঘমেয়াদে উপকার পাওয়ার জন্য এবং ব্যবহারকারীদের উপকারের জন্য এই হোয়াইট হ্যাট এসইও প্রয়োগ করা হয়। এটাকে এথিক্যাল এসইও বলতে পারেন।
- ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO): দ্রুত ওয়েবসাইটের র্যাঙ্ক পাওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিনের দুর্বলতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করা হয়। এই কৌশলগুলো সাময়িকভাবে কাজ করলেও, দীর্ঘমেয়াদি রেজাল্ট দিবে না, বরং ধরা পড়লে সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটকে পেনাল্টি দিতে পারে।
- গ্রে হ্যাট এসইও (Gray Hat SEO): এটি হোয়াইট এবং ব্ল্যাক হ্যাটের মাঝামাঝি একটি কৌশল। এতে কিছু রিস্ক থাকে, কিন্তু এটি পুরোপুরি ব্ল্যাক হ্যাটের মতো ক্ষতিকর না। এখানে এথিক্যাল কৌশলের পাশাপাশি কিছু আনএথিক্যাল কৌশলও প্রয়োগ করা হয়।
কেন ওয়েবসাইটে এসইও করতে হয়?
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। একটি ওয়েবসাইটের জন্য এসইও কেন অপরিহার্য, তার কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ নিচে দেওয়া হলোঃ
- অর্গানিক ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্যঃ এসইও-এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেইজে আনা যায়, যা ফ্রিতে অর্গানিক ট্র্যাফিক নিয়ে আসে। এই ট্র্যাফিকগুলো আসলেই আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিষয়ে আগ্রহী।
- গ্রাহকদের টার্গেট করতেঃ এসইও আপনাকে সেই সব গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে, যারা আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে অ্যাক্টিভ্লি খোঁজাখুঁজি করছে। এটি পেইড অ্যাডস এর তুলনায় অনেক বেশি ইফেক্টিভ, কারণ আপনি সরাসরি আগ্রহী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন।
- দীর্ঘমেয়াদী ফলাফলের জন্যঃ একবার সঠিকভাবে এসইও করা হলে, এর ফলাফল দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। অ্যাডস এর মতো এতে রেগুলার খরচ করতে হয় না।
- গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করতেঃ যখন কোনো ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেইজে আসে, তখন ব্যবহারকারীরা এটিকে আরও বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য মনে করে। এটি ব্র্যান্ডের সুনাম বাড়াতেও সাহায্য করে।
- লোকাল সার্চে ভিজিবিলিটি বাড়াতেঃ স্থানীয় ব্যবসাগুলোর জন্য লোকাল এসইও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্থানীয় গ্রাহকদের কাছে সহজে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
- মোবাইল সার্চের জন্য অপটিমাইজেশনঃ বর্তমানে বেশিরভাগ সার্চ মোবাইল ডিভাইস থেকে করা হয়। এসইও এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি করা যায়, যা User Experience ইমপ্রুভ করে।
সামগ্রিকভাবে একটা ব্র্যান্ডের অনলাইন প্রেজেন্স বাড়ানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন ভিজিবিলিটি যত বেশি মানুষের মাঝে সে ব্র্যান্ডের অ্যাওয়ারনেস তত বেশি।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব?
এসইও শেখার জন্য অনেক রিসোর্স রয়েছে। আপনি অনলাইন ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, ফোরাম এবং বিভিন্ন কোর্স থেকে শিখতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এসইও হলো একটি volatile ক্ষেত্র। সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম প্রায়শই আপডেট হয়, তাই আপনাকে নিয়মিত শিখতে এবং আপডেটেড থাকতে হবে।
যদি আপনি একটি স্ট্রাকচার্ড এবং প্রফেশনাল পদ্ধতিতে এসইও শিখতে চান, তাহলে একটি ভালো ট্রেইনিং সেন্টার বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বাংলাদেশের যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো এসইও নিয়ে অ্যাক্টিভলি কাজ করে তাদের মধ্যে DUSRA Soft অন্যতম।
এখানে আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ ও দক্ষ এসইও স্পেশালিস্ট এবং ইনস্ট্রাক্টর, যারা আপনাকে হাতে-কলমে শেখানোর জন্য প্রস্তুত। আমরা বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও এসইও অপ্টিমাইজের কাজ করতে থাকি। তাই DUSRA Soft এর ট্রেনিং কোর্সে আপনি শুধুমাত্র তাত্ত্বিক জ্ঞানই পাবেন না, বরং বাস্তব প্রজেক্টে কাজ করার মাধ্যমে ব্যবহারিক দক্ষতাও অর্জন করতে পারবেন।
আমাদের প্র্যাক্টিকাল এসইও কোর্সের মডিউলগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা নতুন থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ পেশাদারদের জন্য সমানভাবে উপকারী হবে।
আমরা শিক্ষার্থীদেরকে শুধুমাত্র SEO-এর মৌলিক বিষয়গুলোই শেখায় না, বরং সর্বশেষ ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ড এবং টুলস সম্পর্কেও জানাই। একটি কোর্সের মাধ্যমে আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ থেকে শুরু করে অন-পেজ, অফ-পেজ, টেকনিক্যাল এসইও এবং লোকাল এসইও-এর মতো সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবেন। আমাদের কোর্সের শেষে আপনি ফ্রিল্যান্সিং অথবা কর্পোরেট চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন।
শেষাংশ
ডিজিটাল বিশ্বে টিকে থাকার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আজ আর কেবল একটি কৌশল নয়, এটি একটি অপরিহার্য কৌশল। SEO হলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে cost-effective স্ট্র্যাটেজি। এটা শুধু ট্রাফিক বাড়ায় না, ব্র্যান্ড ট্রাস্ট, গ্রাহকের বিশ্বাস, এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক সাফল্য নিশ্চিত করে।
তবে SEO একদিনে শেখা বা ইমপ্লিমেন্ট করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, প্র্যাক্টিস এবং সঠিক গাইডলাইন। সেই জায়গাতেই DUSRA Soft হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। Practical SEO Training Course সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপে (+880 1714-691963)।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
১. SEO শিখতে কি কি লাগে?
এসইও শিখতে প্রাথমিকভাবে একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, ইন্টারনেট কানেকশন এবং এসইও শেখার প্রতি আগ্রহ থাকলেই তা যথেষ্ট।
২. SEO শিখতে কত দিন লাগে?
এটা ব্যাক্তিভেদে আলাদা হতে পারে। আপনি যদি যথেষ্ট সিরিয়াস লার্নার হয়ে থাকেন তাহলে এক-দেড় মাসে এসইও এর বেসিক শিখে ফেলতে পারবেন এবং ৪-৫ মাসে বেশ ভালোভাবেই এসইও এর কৌশলগুলো রপ্ত করতে পারবেন।
৩. SEO কত প্রকার ও কি কি?
কয়েক প্রকারের এসইও রয়েছে। যেমনঃ অন-পেজ এসইও, অফ-পেজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও, হোয়াট হ্যাট এসইও, ব্ল্যাক হ্যাট এসইও ইত্যাদি।
৪. এসইও শেখার পর কি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব?
হ্যাঁ সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সবচেয়ে চাহিদপূর্ণ যে কাজগুলো রয়েছে তার মধ্যে এসইও অন্যতম।
৫. বাংলাদেশে এসইও শেখার সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠান কোনটি?
বাংলাদেশে স্বল্প খরচে ও এক্সপার্টদের কাছ থেকে এসইও শেখার জন্য সবচেয়ে সেরা প্রতিষ্ঠান হলো DUSRA Soft.